বার্তা পরিবেশক:
২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত কক্সবাজারের নবগঠিত উপজেলা ঈদগাঁওয়ের প্রথম বারেরমত অনুষ্ঠিত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিজয়ী ঘোষণা পেতে চান প্রবাসী শামসুল আলম। ইতোমধ্যে প্রবাসী শামশুল আলম তিনিসহ তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের পেইজবুক পেইজে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছেন। গত কয়েকদিন যাবৎ শামসুল আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ ও ঈদগাঁও এলাকার কয়েক বাসিন্দার ওয়ালে এ দাবি জোরালোভাবে দেখা যাচ্ছে।
২০২৪ সালে নবগঠিত উপজেলা হিসেবে ঈদগাঁও উপজেলার প্রথম অনুষ্ঠিত চেয়ারম্যান নির্বাচনের ফল বাতিল করে সেই সময় বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েও বঞ্চিত হওয়া প্রবাসী শামসুল আলমকে বিজয়ী ঘোষণার দাবি এখন ঈদগাঁও উপজেলার ভোটারদের প্রাণের দাবীতে পরিণত হয়েছে। সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত।
এর ধারাবািকতায় ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণার দাবি জানাচ্ছেন প্রবাসী শামসুল আলম। তিনি এইজন্য মহামান্য আদালতের দ্বারস্ত হবেন বলেও জানান। তিনি ও তাঁর কয়েকজন ভোটার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘যেহেতু ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা করা হয়েছে তাই তাকেও ঈদগাঁও উপজেলার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান পদটি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তিনি আরও বলেন, আমি তো অনেক নির্যাতিত হয়েছি।বিগত নির্বাচনে শত প্রতিকুলতার মাঝেও উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করে সে সময়ে আমি নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ প্রভাব বিস্তার করে প্রশাসনের নিল নকশায় আমাকে পরাজিত দেখানো হয়েছে। ইশরাক যদি আদালতে ন্যায় বিচার পেয়ে মেয়র হয় তাহলে আমাকেও নির্বাচিত ঘোষণা করা জনগণের দাবী। এইজন্য আমি শীঘ্রই আদালতের দ্বারস্ত হব ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে প্রবাসী শামসুল আলম এই প্রতিবেদককে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা ঈদগাঁওয়ের ভোটার থেকে শুরু করে কক্সবাজারবাসী খুব ভালো করেই অবগত আছেন, ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নবগঠিত উপজেলা ঈদগাঁও উপজেলার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে বিজয়ী ঘোষণা করা প্রার্থীকে হারিয়ে বিপুল ভোটে আমি বিজয়ী হয়েছিলাম। কিন্তু তৎকালীন পেশীশক্তি দলীয় প্রভাব বিস্তার ও প্রতিদন্দ্বী প্রার্থীর আত্মীয় ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রভাবশালী কর্মকর্তার সরাসরি নগ্ন হস্তক্ষেপে নির্বাচন কমিশনকে চাপ দিয়ে ফলাফল ছিনতাই করে প্রভাব খাটিয়ে আমার প্রতিদন্দ্বী পরাজিত প্রার্থী আবু তালেবকে অবৈধভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে। ফল ছিনতাইয়ের প্রতিবাদ জানিয়ে ঈদগাঁওবাসী প্রতিবাত, অভিযোগ করেও ন্যায়বিচার পাইনি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে আমাকে দেশ ছাড়া করেছে।
প্রবাসী শামসুল আলম আরও বলেন,নির্বাচনের দিন ভোটারদের ভালবাসায় আমি যখন কেন্দ্র পরিদর্শনে যাই সেখানে গিয়েও শারীরিকভাবে হামলার শিকার হতে হয়েছে। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে ঈদগাঁও উপজেলার আমার প্রাণপ্রিয ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েও আমাকে পরাজিত ঘোষনা করা হয়েছে। আমি আদালতের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু ন্যায় বিচার প্রার্থনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। স্থানীয় কয়েকজন ভোটার জানান,বিগত নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে আমরা চেয়ারম্যান প্রার্থী বিশিষ্ট সমাজ সেবক প্রবাসী শামসুল আলমকে ভোট দিয়েছি কিন্তু প্রতিদন্দ্বী প্রার্থী প্রভাব খাটিয়ে নিজের পক্ষে ফলাফল ছিনিয়ে নিয়েছেন। এখন আমরা আদালতের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় নেতা প্রবাসী শামসুল আলমকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করার জোর দাবী জানাচ্ছি। উল্লেখ্য বিগত নির্বাচনের আগে রেমিট্যান্স যোদ্ধা কক্সবাজার এসে পৌঁছলে শতশত সাধারণ মানুষ তাঁকে বিমান বন্দরে বরণ করে এলাকায় নিয়ে যায়। এমনকি ভোটের দিন স্বতঃস্ফূর্তভাবে শামসুল আলমের প্রতিকে ভোট দিলেও সন্ধ্যায় তাঁকে পরাজিত দেখে ঈদগাঁওবাসী হতাশ হয়ে পড়েন।